চট্টবাণী : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অনেকটা অচল চট্টগ্রাম। সড়কে গণপরিবহন তুলনামূলক কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে নগরের অক্সিজেন মোড়, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, প্রবর্তক মোড় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার হাটহাজারী-নিউমার্কেট রুট, রাউজান-নিউমার্কেট, ফটিকছড়ি-নিউমার্কেট রুটসহ ২৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা-চট্টগ্রাম, পটিয়া-চট্টগ্রাম, লোহাগাড়া-চট্টগ্রামসহ ১৯ রুটে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। একই অবস্থা নগরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা গণপরিবহনেও। হাতেগোনা কয়েকটি রুট ছাড়া প্রায় রুটে বন্ধ যান চলাচল।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দন বলেন, আমাদের কোনো রুটের গাড়ি বন্ধ নেই। যাত্রী কম থাকায় শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে অনিচ্ছুক। তাই হয়তো কয়েকটি রুটে গাড়ি চলছে না।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, উত্তর চট্টগ্রামের ২৫টি রুট রয়েছে। প্রায় সবকটি রুটে যান চলাচল করছে না। তবে তা আমাদের সংগঠনের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। চলমান পরিস্থিতিতে নিজেদের জানমালের কথা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকরা যানবাহন চালাচ্ছেন না।
এদিকে চলমান আন্দোলনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন শিক্ষকদের হাজিরা দিতে হচ্ছে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে। গণপরিবহন কম থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাকরি বাঁচাতে তাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এর বাইরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও একই চিত্র।
কুয়াইশ বুড়িশ্চর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় ও বুড়িশ্চর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই দুর্যোগে শহর থেকে কাপ্তাই সড়কে দূরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। জেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষকদের নিরাপত্তার কথা ভাবছে না।