চট্টবাণী: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক-গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহবুবুল হক।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাদ আসর কেন্দ্রীয় মসজিদ ময়দানে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মরহুমের মরদেহ শ্রদ্ধাঞ্জলীর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। বাদ জুমা চট্টগ্রাম জামিয়াতুল ফালাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিথযশা ভাষা-গবেষক, একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদয় এবং চবি শিক্ষক সমিতি।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়, এ গুণী ভাষা-গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা-জীবনে যে মেধা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রেখে গেছেন চবি পরিবার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। ড. মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়েও শিক্ষা-গবেষণায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বাংলা ভাষা গবেষণা এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান বাঙালি জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। শিক্ষক সমিতি মনে করে, এ শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে দেশ-জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন।