চট্টবাণী: কোটা আন্দোলনের কারণে বেশ কিছুদিন জেলা-উপজেলার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে সরবরাহ কমে আসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনও ৬০ টাকার নিচে মিলছে কোন সবজি। ক্রেতারা বলছেন, একেক সময় একেক অজুহাতে নিত্যপণ্য ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।এতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছু।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কারফিউ চলমান থাকায় এখনো সীমিত পরিসরে পণ্যবাহী ট্রাক চট্টগ্রামে প্রবেশ করছে। যার কারণে দাম একটু বাড়তি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়িসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামে তারতম্য দেখা যায়।
কাঁচাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পটল ৭০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ টাকা, টমেটো ২০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে স্বস্তি ফিরেছে ডিমের বাজারে। ডিমের ডজন ১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। এছাড়া তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৬০, কাচকি ৫০০, কৈ ২০০ থেকে ২৪০, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি টেংরা মাছ ৮০০ ও পাবদা মাছ কেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে।
নগরের বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা আজিজুর রহমান বলেন, সবসময় ব্যবসায়ীদের অজুহাত। আন্দোলন আর কারফিউ চলমান থাকার অভিযোগ করে পণ্যের ঘাটতির কথা বলে সব পণ্য কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।
এদিকে সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে ওএমএস কার্যক্রম চালু হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীনে নগরীতে ডিলারের মাধ্যমে ২৫টি কেন্দ্রে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। ১ কেজি চাল ৩০ টাকা ও ১ কেজি আটার দাম পড়বে ২৪ টাকা।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন বলেন, একটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন চাল এবং ১ মেট্রিক টন আটা দেওয়া হবে। যে কেউ এসব কেন্দ্র থেকে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারবেন নির্ধারিত মূল্যে।
অপরদিকে টিসিবি ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু করছে। টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারী ব্যক্তিরা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চালের দাম নেওয়া হবে ৩০ টাকা।