চট্টবাণী ডেস্ক: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এছাড়া মধ্যাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
আর উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। শনিবার (৬ জুলাই) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, বর্তমানে বিভিন্ন নদ-নদীর ২১টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে অপরদিকে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানির সমতল ধীরগতিতে কমতে পারে অপরদিকে যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এতে কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতির স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে সতর্কসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীগুলোর পানির সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। এর ফলে তিস্তা নদীর পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুর্নভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনা নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে। বর্তমানে সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জে বন্যা দেখা দিয়েছে।