চট্টবাণী: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরীর নাম জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে সাবেক মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের ইস্টার্ন জোনের চেয়ারম্যান, সিটি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জহুর আহমদ চৌধুরীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জহুর আহমদ চৌধুরীর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মেয়র।
এ সময় মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার পর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন দেশে-বিদেশে প্রচারের জন্য। পরবর্তীকালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা প্রচার করা হয়।
জহুর আহমদ চৌধুরী মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে গোটা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তিনি আগরতলা গিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশের পক্ষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার আহ্বান জানান। এজন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় জহুর আহমদ চৌধুরীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরী এদেশের একজন নন্দিত রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাক্ষী। রোজ গার্ডেন সম্মেলন থেকে আওয়ামী লীগের সদস্য। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি দলের সুসময়ে-অসময়েও আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জহুর আহমদ চৌধুরীর মতো ত্যাগী নেতার জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, নুরুল আমীন, আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবুল হাসনাত বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী ও মো. এসরারুল হক।