বিনোদন ডেস্ক :‘চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির হাতে পিটুনি খেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক রাশিদ পলাশ’- এ নিয়ে উত্তাল নেটিজেনরা। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন এই পরিচালক।
ববির হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার দু’দিন পেরুনোর পর অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক রাশিদ পলাশ। তার ভাষ্য, ববির সঙ্গে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে।
সম্প্রতি ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমা ঘিরে এই অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া গেল। সিনেমাটির পরিচালকের বিরুদ্ধে নায়িকা ববির পাহাড় সমান অভিযোগ, শুটিং সেটে পরিচালকের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল পাননি। ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশের সঙ্গে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির তুমুল দ্বন্দ্ব বাঁধে; যা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে হাতাহাতিতে।
এ প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমে পরিচালক রাশিদ পলাশ বলেন, ববির সঙ্গে আমার ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক। গায়ে হাত তোলার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আমাদের এমন ঘটনা ঘটে। সেদিন আমরা ক্লোজডোরে ববিসহ সিনেমার কয়েকজন কথা বলছিলাম। সেদিনও আমাকে ধাক্কা দিয়েছিল সেটার কোনো ভিডিও কেউ করে দেখায় সেটা অন্যদের চোখে ভালো দেখাবে না। আমাদের সম্পর্কের জায়গা থেকে এটা করতে পারে। বিষয়টি যেভাবে বলা হচ্ছে, আসলে তেমন না।
ববিকে সিনেমায় ঠিকভাবে উপস্থাপনা করা হয়নি সেটা স্বীকার করে এই পরিচালক বলেন, আমি ববিকে সিনেমায় ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি এটা সত্য। এর জন্য আমি একা দায়ী নই। শুটিংয়ের কল টাইম ১১টায় থাকলেও শিল্পী সেটে আসেন ৪টায়। চার-পাঁচটা সিক্যুয়েন্সের পরিকল্পনা থাকলে তা কমে একটা-দুটো করা যেত। যে কারণে ববিকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। তারপরও ববিকে বলেছি, পরবর্তীতে তোমাকে ঠিকভাবে উপস্থাপন করব।
ববির পারিশ্রমিক ঠিকভাবে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় রাশিদ পলাশ বলেন, ববির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল ৩ লাখ টাকা দেওয়ার। আমি তিন লাখই দিয়েছি। ববি এখন পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলে আমার কি করার থাকে! তা ছাড়া সিনেমায় ববি তার মতো ড্রেস পরে আসতো।
এ প্রসঙ্গে ইয়ামিন হক ববি বলেন, আমরা বন্ধু নই। সে একজন পরিচালক আমি একজন শিল্পী। এতটুকুই। সে কেন বন্ধু দাবি করছে আমি জানি না। আমাদের ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক নয়।
আপনি শুটিংয়ে সময় মতো আসতেন না এবং পারিশ্রমিক ৩ লাখ টাকা কথা ছিল। এখন নাকি পাঁচ লাখ দাবি করছেন। এমন অভিযোগ নিয়ে কি বলবেন? উত্তরে এই ‘বিজলী’ কন্যা বলেন, সব মিথ্যা কথা। এমন যদি হতো সে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা আমার সমিতিতে অভিযোগ জানাতে পারত। সেটা কিন্তু করেনি। তার মানে এমন কিছু হয়নি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার কাজে সন্তুষ্ট। তারা আরও আক্ষেপ জানিয়েছে আমাকে ঠিকমতো উপস্থাপন করতে পারেনি বলে। বরং তারা পরিচালকের কাজে বিরক্ত। নিজের দোষ ঢাকতে আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে।
যোগ করে ববি বলেন, এর আগেও তো অনেক কাজ করেছি। কই কখনো তো কোনো পরিচালক সেটে দেরিতে গিয়েছি বলতে পারেনি। কাজের ব্যাপারে বরাবরই আমি আন্তরিক। এই কাজটি করতে গিয়ে আমার ক্যারিয়ারে বাজে একটা অভিজ্ঞতা হলো। এটা সারাজীবন মনে থাকবে।
তথ্য অনুসারে, ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার প্রযোজক সব শিল্পীর পারিশ্রমিক পরিচালক রাশিদ পলাশের হাতে দিলেও তিনি শিল্পীদের ঠিকমতো পরিশোধ করেননি। ফলে নায়িকার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে নির্মাতার। ফলশ্রুতিতে, পরিচালক রাশিদ পলাশকে চড় মারেন ববি।