মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ: উপজেলার একমাত্র ব্যবসায়ী প্রাণকেন্দ্র থানচি বাজারের পিছনে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ময়লার স্তূপ যেনো ময়লা আবর্জনার ভাগাড়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৈত্রী শিশু সদন ও থানচি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,কবরস্থানের সামনে সড়কের বাজারের বিভিন্ন ময়লায় ভরপুর চলাচলের সময় র্দূগন্ধের কারণে বমি চলে আসে।কথা হয় মৈত্রী শিশু সদনের শিক্ষার্থী উসান খুমীর সাথে, তিনি বলেন স্কুলে যাওয়া আসার সময় দূর্গন্ধে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আমাদের ।
অন্যদিকে বাজারের পশ্চিম পাশে ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গু নদীর পাড়ে একই অবস্থা ময়লা আবর্জনা গুলো নদিতে এসে মিশে যাচ্ছে যার কারণে নদীর আসে পাশে বসবাসকারী যাদের ভরসা নদীর পানি গোসল কিংবা পারিবারিক প্রয়োজনে,তা বিষাক্ত হয়ে পানি ব্যবহারকারীদের ডায়রিয়া কলেরা ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, জীবাণু বাহিত পানি ব্যবহার করার ফলে ম্যালেরিয়া ডায়রিয়া ও টাইফয়েড টাইফয়েড রোগাক্রান্ত হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের দিকে রেমাক্রিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছয় জনের মৃত্যুবরণ খবর অনেকের জানা।
এই বিষয়ে থানচি বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী স্বপন বাবু বলেন, এই বিষয়ে বহুবার কথা হয়েছে, উপজেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা পরিষদ চাইলে খাস জায়গা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান করে দিতে পারে।
থানচি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম বলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা হয়েছে নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করার বিষয়ে, আসা করছি শিঘ্রই একটা ব্যবস্থা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মারমা বলেন, বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বসে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিভাবে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায়।