চট্টবাণী: ব্যাপক প্রস্তুতি এবং সঠিক তদারকির মাধ্যমে এবারও কোরবানির পশুর বর্জ্য ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৫টার মধ্যে অপসারণে চসিক নজির স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
নগরের টাইগারপাসে চসিকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সভায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী।
মেয়র ওয়ার্ড ওয়ারি আবর্জনা পরিবহনের গাড়ি বণ্টন, সেবকদের উপস্থিতিসহ সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করেন এবং দুপুরে বিভিন্ন এলাকার কোরবানির পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণের কাজ পরিদর্শন করেন।
এ ছাড়া আরেফিন নগর ও হালিশহর আবর্জনাগারে পশুর বর্জ্য ডাম্পিং কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন।
মেয়র বলেন, ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে একটানা বর্জ্য অপসারণ করে সেবকরা চট্টগ্রামকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ছয়টি টিম বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। কোথাও বর্জ্য পেলেই তারা তাৎক্ষণিক অপসারণ করে এবং ডাস্টবিন ও বর্জ্য রাখার স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জবাইকৃত পশুর রক্ত ধুয়ে ফেলেন। ফলে পুরো শহরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে চসিকের দামপাড়া অফিসে একটি সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছিল। সেখানে যেকোনো অভিযোগ পাওয়ামাত্র তা দ্রুত ওয়াকিটকি বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর বা সুপারভাইজারকে ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়। কোরবানি পশুর বর্জ্য ও নাড়িভুড়ি দ্রুত অপসারণ করে পরিবেশ সুস্থ্য ও সুন্দর রাখায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠক ও ব্যক্তি চসিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মেয়র বর্জ্য অপসারণ কাজে সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করায় নগরবাসী, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর এবং পরিচ্ছন্ন-প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।