খেলাধুলা ডেস্ক: ছক্কা, চার মেরে শুরুটা করলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ।
তানজিম হাসান সাকিব প্রথম স্পেলে পেলেন তিন উইকেট, তাসকিনও পান উইকেটের দেখা। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার টেনে তোলেন প্রোটিয়াদের, আসে রানও। দুজনের জুটিতে একশ ছাড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার রান। তবে শেষ অবধি তাদের থামতে হয়েছে অল্পতেই।
সোমবার নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করেছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
টস হেরে প্রথম ওভার বল করতে এসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা ও চার হজম করেন তানজিম হাসান সাকিব। কুইন্টন ডি ককের কাছে বাউন্ডারি হজমের পরও অবশ্য মনোবল হারাননি তিনি। ওভারের শেষ বলেই পেয়ে যান উইকেটের দেখাও। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে এলবিডব্লিউ হন রেজা হেনরিকস।
দ্বিতীয় ওভারে আসা তাসকিন আহমেদকেও ছক্কা হাঁকান ডি কক। কিন্তু পরের ওভারে এসে তাকে ফিরিয়ে দেন তানজিম। তৃতীয় বলে ডি কককে বোল্ড করেন তিনি বেশ বাইরে থেকে অনেকটুকু ভেতরে ঢোকা বলে। ১টি চার ও ২ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করেন ডি কক।
তানজিমের পর তাসকিনও উইকেটের দেখা পান। ৮ বলে চার রান করা এইডেন মার্করামের অফ স্টাম্প ভাঙেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাংলাদেশকে আরও একটি উইকেট এনে দেন তানজিম। তার বাউন্সার ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি ক্রিস্তিয়ান স্টাবস। কাভারে সামান্য এগিয়ে দাঁড়ানো সাকিব আল হাসান ক্যাচ নেন তার।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ প্রথম ছয় ওভারে। কিন্তু পাওয়ার প্লের পরই প্রেক্ষাপট বদলাতে থাকে। বাংলাদেশের তিন পেসারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বাধ্য হয়। নিয়ে আসে স্পিনারদের।
এরপরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সামলে উঠতে থাকেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। দুজনের জুটি বড় হতে থাকে, আসে রানও। পেসারদের বিপক্ষে কঠিন সময় কাটানো ব্যাটাররা খুঁজে পান স্বস্তি। রিশাদ হোসেন তার প্রথম দুই ওভারে দেন ২০ রান। তাকে টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন।
সাকিব এক ওভারে ৬ রান দেন। এর মধ্যে শান্ত বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিয়ে আস্থার প্রতিদান তিনি। তার করা প্রথম বলেই ডেভিড মিলারের ক্যাচ উইকেটের পেছনে ছাড়েন লিটন দাস। বাইরের দিকে যাওয়া বলটি ধরা অবশ্য বেশ কঠিন ছিল।
এর মধ্যে জুটি বড় হতে থাকে মিলার ও ক্লাসেনের। ১৮তম ওভারে গিয়ে অবশেষে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে যান ক্লাসেন। ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটি ভাঙে, যেটি নাসাউ কাউন্টিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ক্লাসেন।
ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করতে পারেননি ডেভিড মিলারও। রিশাদের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ৩৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ রান করেন মিলার। তার বিদায়ের পর আর তেমন রান হয়নি। শেষ ওভারে চার রান দেন মোস্তাফিজ।