খেলাধুলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে শুরুতে বেশ স্বস্তিতেই ছিল কানাডা। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকদের জ্বলে ওঠার কোনো সুযোগ দেয়নি তারা।সপ্তম ওভারেই ৪২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল যুক্তরাষ্ট্র। জয় তখনো বেশ দূরের পথ।
কিন্তু উইকেটে এসেই পাশার দান উল্টে দেন অ্যারন জোনস। ৪০ বলে ৪ চার ও ১০ ছক্কায় তার অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।
আজকের আগে টি-টোয়েন্টিতে বেশ লম্বা সময় ধরেই রানখরায় ভুগছিলেন জোনস। সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছেন আড়াই বছর আগে। তাই বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নিজের দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মেজর ক্রিকেট লিগের ড্রাফটে তাকে নেয়নি কোনো দল। কিন্তু কানাডার বিপক্ষে ইনিংস অনেক মানুষের চোখ খুলে দেবে বলে বিশ্বাস করেন জোনস।
তিনি বলেন, 'মাঝেমধ্যে ক্রিকেটার হিসেবে, নিজেকে আড়ালে রাখা ভালো যদি ফর্ম না থাকে। আমি সবসময় নিজের ওপর আস্থা রাখি এবং জানি সব পর্যায়ে পারফর্ম করার সামর্থ্য আছে আমার। আজ পারফর্ম করতে পারায় ও যুক্তরাষ্ট্রকে জেতাতে পারায় খুবই খুশি। আশা করি এটি বিশ্বকাপের কিছু মানুষের চোখ খুলে দেবে, যে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার যোগ্য। '
ক্রিস গেইলের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেকেই ১০ ছক্কা হাঁকানো দ্বিতীয় ব্যাটার জোনস। অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে দ্রুততম ফিফটির (২২ বলে) রেকর্ডও গড়েন তিনি।
ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, 'ব্যাটিংয়ে নামার গুসকে বলি, এখন আমরা চাপের মুখে আছি। ম্যাচ জিততে হলে, আমাদের আগ্রাসী ও ইতিবাচক হতে হবে। আমরা ভয়ডরহীন, ইতিবাচক ও স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। নির্ভীক হতে হলে আমাদের শট নির্বাচন ভালো হতে হবে। যদি সুইপ খেলতে না জানি, তাহলে খেলব না। পায়ের ব্যবহার করতে না জানলে, করব না। কিন্তু নির্বিশেষে আগ্রাসী হতে হবে। '
' আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষেও একইভাবে খেলব। প্রতিপক্ষ কে, সেটা না ভেবে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই আমরা। এই ইনিংসটি স্পেশাল, কারণ এটা বিশ্বকাপ এবং আমরা জানি কানাডা আমাদের চিরপ্রতিন্দ্বন্দ্বী। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। '