বিনোদন ডেস্ক: ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবারের মালিক হলেন জিমি ডোনাল্ডসন ওরফে ‘মিস্টার বিস্ট’। ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেল টি-সিরিজকে পেছনে ফেলে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জিমি ডোনাল্ডসনের চ্যানেল ‘মিস্টার বিস্ট’।
রোববার (২ জুন) এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘মিস্টার বিস্ট’ নিজেই। বর্তমানে তার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২৬৭ মিলিয়ন বা ২৬ কোটি ৭০ লাখ। সেখানে টি-সিরিজের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২৬৬ মিলিয়ন বা ২৬ কোটি ৬০ লাখ।
এদিকে ‘মিস্টার বিস্ট’-এর এমন সাফল্যে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেসলার মালিক এলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে এক টুইটাবার্তায় তথ্যটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘ওয়াও। অভিনন্দন।’
কে এই মিস্টার বিস্ট?
২৬ বছরের এই যুবকের আসল নাম জিমি ডোনাল্ডসন। ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে এখন পর্যন্ত ৭০০র বেশি ভিডিও তুলেছেন তিনি। হতে চেয়েছিলেন বেইসবল খেলোয়াড়। কিন্তু অসুখের কারণে থমকে গিয়েছিল তার ক্যারিয়ার।
এরপরই ইউটিউবমুখী হন জিমি। ২০১২ সাল থেকে ভিডিও বানানো শুরু করেন। যখন তার বয়স ১৩ বছর। একজন ভালো শিক্ষার্থীর মতো ভাইরাল হওয়ার সব কৌশল দ্রুত শিখে নেন ডোনাল্ডসন। ইউটিউব অ্যালগরিদম বুঝতে জীবনের আর সব সাধ-আহ্লাদ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন দূরে।
তার সাধনা বৃথা যায়নি। ইউটিউবে জনপ্রিয় চ্যানেলের তালিকায় ভারতের রেকর্ডিং কোম্পানি টি-সিরিজ প্রথম স্থানে রয়েছে। এর ঠিক পরেই অর্থাৎ দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ডোনাল্ডসনের মি.বিস্ট চ্যানেলটি।
‘কেমন করে আইফোন আনলক করা যায়?’ এ ধরনের চটকদার শিরোনামের ভিডিও তুলে নিরীক্ষা চালিয়েছেন ডোনাল্ডসন। মাঝপথে কলেজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে বাসা থেকে তাকে বের করে দেওয়াও হয়েছিল। ঠিক ওই সময় প্রথম একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয় ডোনাল্ডসনের। ‘গৃহহীনকে ১০ হাজার ডলার দান’ শিরোনামে ভিডিও করে ওই অর্থ সত্যি সত্যি এক অসহায় দিয়ে দেন তিনি।
ডোনাল্ডসন খুব একটা মজার মানুষ নন কিংবা তিনি খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না; অথবা দেখতে খুব আকর্ষণীয়ও নন; নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভাষায় ডোনাল্ডসনের অনুসারীরা এসব নিয়ে ভাবেন না।
এই চ্যানেলের অধিকাংশ অনুসারী শিশু ও কিশোর বয়সী। তাদের কাছে ডোনাল্ডসন অন্তর্মুখী না কি অথবা বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ তাও দেখার বিষয় নয়।
ডোনাল্ডসন জানেন, ইউটিউবে তোলার জন্য সঠিক ভিডিও কেমন করে বানাতে হয়। তিনি তরুণদের নজর কাড়ে এমন ঘটনা স্ক্রিনে জুড়ে দেন একের পর এক। আর তাতে মিশিয়ে দেন নাটকীয় আবেশ; যা দেখতে স্বপ্নের মতো মনে হয়। এ কারণেই অনুসারীরা ডোনাল্ডসনের ভিডিও দেখেন।