চট্টবাণী: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে ৭ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (০১ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার ও হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জেবিন চৌধুরী, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বিমল চন্দ্র দাশ, উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাসহ শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের নার্স, চিকিৎসকরা।
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ হয়, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে।
এছাড়া হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ার ক্ষেত্রে শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। ১৯৭৪ সালের পর থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নাই বললেই চলে।
কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা সবটুকু তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো ও জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, এবারের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ জনকে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুরা পাবে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রম চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।