চট্টবাণী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এবং ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।
বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের নির্বাচন পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। আগামীকাল এটি চূড়ান্ত জানা যাবে। এই নির্বাচনে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ব্যতীত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর নেই। মোটামুটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম ভোটার উপস্থিতি কম হবে। প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জায়গা কিছু কিছু ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও ধান কাটা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ভোটার উপস্থিতি ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি মোটামুটি সন্তোষজনক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচন করাটা চ্যালেঞ্জের। নির্বাচন বিরোধীদের মিথ্যাচার ও অপপ্রচার রয়েছে। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পরও বিএনপির গলাবাজিটা আগের তুলেনায় এখন অনেক বেড়ে গেছে। তাদের মাঠের আন্দোলন ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতেও ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার কারণে তারা হতাশ ও ক্লান্ত। কর্মীদের চাঙা করতে তাদের সর্বশেষ কর্মসূচি লিফলেট বিতরণ। এখন আবার নতুন করে আন্দোলন সংগ্রামের স্বপ্নে বিভোর হয়েছে। তারা ভেবেছিলেন জাতীয় নির্বাচনের পর দেশে দুর্ভিক্ষ ও প্রাণহানি হবে। তাদের সে স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে গেছে। দেশে একজনও না খেয়ে মারা যায়নি।
বেনজির, আজিজ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, কোহিনূর - এরা কাদের সৃষ্টি? দুর্নীতি, লুটপাটের ভবন ‘হাওয়া ভবন’ কাদের সৃষ্টি? তাদের বিচার কি বিএনপি করেছে? শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। সে কারণে তার জিরো টলারেন্স দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দুইজনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই কর্তব্যে কোন বিচ্যুতি ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজিরের যে ক্যারিয়ার, পারসোনালিটি তাকে তো বাইরে থেকে ভাবেননি এখন যা জানছেন। আপনারা (সাংবাদিকরা) ভাবেননি, কেউ ভাবেনি। আজিজ আহমেদ অত্যন্ত বিচক্ষণ ছিলেন, তার এমন ডিগ্রি আছে যা অনেক অফিসারের ছিল না।
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।