চট্টবাণী: শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রম ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচের সব শিশুকে চিহ্নিত করা এবং নিখুঁতভাবে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ই-ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
সোমবার (২০ মে) পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে ইউনিসেফের সহায়তায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকারের মতো একটি আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমে সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে ভেকসিন হিরোর স্বীকৃতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্য।
ই-ট্র্যাকার চালুর মূল উদ্দেশ্য নগরে টিকা না পাওয়া বা কম পাওয়া এবং ভাসমান শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা। আমরা টিকাদানকে শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইপিআই কার্যক্রম জোরদারকরণের লক্ষ্যে স্মার্ট হেলথ বিডি অ্যাপের মাধ্যমে ইপিআই ই-ট্র্যাকারের কার্যক্রম গত ১ জানুয়ারি পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে GIS-Based Online Microplanning & Reporting ইপিআই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে নগরের ১৩ হাজার শিশুকে স্মার্ট হেলথ বিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জী, চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।
উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান প্রমুখ।