নুরুল আবছার নূরী : ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ জিয়ারতে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। এসময় মন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে মাইজভান্ডার দরবারের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
১৭ মে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মন্ত্রী মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ এসে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী । পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ও দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীকে সঙ্গে নিয়ে হযরত গাউসুল আযম আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক:),গাউসুল আযম সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (ক:),গাউছে জামান সৈয়দ আবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (ক:) ও গাউসুল ওয়ারা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর (ক:) রওজাসহ দরবার শরীফের আওলাদে পাকগণের রওজা শরীফ জিয়ারত করেন।
এ সময় মন্ত্রী মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহসুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী মাইজভাণ্ডারীসহ মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সকল আওলাদে পাকের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, আউলিয়া কেরামদের নেক নজর ও সমর্থন মজলুম মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ছিল বিধায় অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জেনেছি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড্ডীন ছিল। মুক্তিযুদ্ধে গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকার জন্য আমি এই দরবারের আওলাদ পাকদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।
পরে তিনি মাইজভাণ্ডার শাহী জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন। জুমার নামাজ শেষে তিনি মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনীয়া আলিম মাদ্রাসার সামনে একটি ফলজ ও একটি ওষুধি গাছ রোপন করেন। তিনি হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর (ক:) রওজা শরীফে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তানভীর নাসির, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আমির হোসেন সোহেল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি স্থায়ী পরিষদ সদস্য তৌহিদুল কাদের চৌধুরী, ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর, মাওলান অলিউল্লাহ আশেকী, ডক্টর আমিনুল সাহেদ,অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, হযরত মাওলানা নুরুজ্জামান চিশতী,সৈয়দ ফারহান রেজবী।