চট্টবাণী: চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পাউবো, বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্খাগুলো নিয়ে একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম গঠন করতে বলেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
সোমবার (১৩ মে) টাইগারপাসে চসিকের সম্মেলন কক্ষে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় মেয়র এ কথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বর্ষা সন্নিকটে। আতঙ্ক বাড়ছে।সামান্য বৃষ্টিতে মুরাদপুরসহ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, খালের দুইপাশে গাইডওয়াল দিলে কাজ শেষ নয়। মাটি অপসারণ করতে হবে। কিছু খালে কী পরিমাণ মাটি উত্তোলন করেছে তা জানতে হবে। পানি উঠবে, কেউ বলতে পারবে না পানি উঠবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক পরিবর্তন আসছে। দুবাই শহর, নিউইয়র্ক শহরে পানি উঠছে। আমাদের খাল গভীর করতে হবে। সেই মাটি উত্তোলন করা গেলে জনগণ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
পাহাড়ের মাটি এসে নালা ভরছে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। এর জন্য সব সংস্থা একযোগে কাজ করতে হবে। লালখান বাজারের পাহাড়ের মাটি জিইসি পর্যন্ত চলে গেছে। চসিককে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলট্রেপ করতে হবে। নয়তো আমরা সন্দিহান।
৩৬টি খালের কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের অবস্থা খারাপ। কোনোটা ভরাট হয়ে গেছে। কোনোটা বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে আমরা পরিকল্পনা করছি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার জায়গা নান্দনিক। উঁচু দেয়ালের জন্য নান্দনিক ভিউ দেখা যাচ্ছে না। বে টার্মিনালে উঁচু দেয়াল দেওয়া হলে পতেঙ্গা অন্ধকার কুটুরিতে পরিণত হবে। তাই কোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় সমন্বয় সভায় আলোচনা করা উচিত।
প্রকৃতিকে পরিবর্তন করা যাবে না। পরিবর্তন করতে গেলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে।
উপস্থিত ছিলেন সিডিএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ প্রমুখ।
সিডিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ৭০ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬০ বর্গকিলোমিটারের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কাজ করছে সিডিএ। বর্ষায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম কাজ করবে। ১২০ কিমি রিটেইনিং ওয়াল, ৩৬টি ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে।