খেলাধুলা ডেস্ক: আইপিএলের প্লে-অফের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স তো আগেই শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে।
বাকি তিন জায়গার জন্য লড়ছে সাত দল। কোনো ম্যাচ হারলেই পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে পরের পথ। চেন্নাই কিংসের কাছে হেরে সেই অবস্থাই হলো রাজস্থান রয়্যালসের।
নিজেদের ঘরের মাঠ চিপকে আজ ৫ উইকেটে জিতেছে ধোনির দল। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪১ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। জবাবে ১০ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
১৩ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এলো চেন্নাই। এক ম্যাচ কম খেলা রাজস্থান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই আছে। তবে টানা তিন হারে তাদের অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। অথচ টানা জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে এক পা দিয়েই রেখেছিল তারা। ১২ ম্যাচে চেন্নাইয়ের সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আগে ব্যাট করতে নেমে আজ রানের চাকা ঠিকভাবে সচল রাখতে পারেনি রাজস্থান। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (২৪) ও জস বাটলার (২১) বিশের ঘর পার করলেও রান তুলেছেন ওয়ানডের গতিতে। তিনে নামা অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন ব্যাট করেছেন আরও ধীরগতিতে। ১৯ বলের মোকাবিলায় ১৫ রান করেছেন তিনি। ১৪.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তুলতে পারে রাজস্থান। তবে শেষদিকে রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেল মিলে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন। ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন পরাগ। আর জুরেলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৮ রান।
বল হাতে চেন্নাইয়ের সিমারজিত সিং ৪ ওভারে ২৬ রান খরচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর পেসার তুষার দেশপান্ডে নিয়েছেন ২ উইকেট।
জবাবে সাবধানী শুরু পায় চেন্নাই। দুই ওপেনার বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন। ১৮ বলে ২৭ রান করে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। তবে তিনে নেমে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় টিকে থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
লক্ষ্য বড় না হওয়ায় চেন্নাইয়ের বাকি ব্যাটাররাও খুব বেশি তাড়াহুড়ো করেননি। উইকেট ধরে খেলতে গিয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি মঈন আলী (১১)। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম ডেরিল মিচেল। ১৩ বলে ২২ রান করেছেন এই কিউই ব্যাটার। কিন্তু শেষদিকে কিছুটা চাপে পড়ে যায় চেন্নাই; বিশেষ করে ১৬তম ওভারে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের কারণে রবীন্দ্র জাদেজা বিদায় নিলে।
থার্ড ম্যান অঞ্চলে বল ঠেলে এক রান পূর্ণ করে দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য ক্রিজের অর্ধেকটা পার হয়ে যান জাদেজা, কিন্তু থার্ড ম্যান থেকে বল পেয়ে উইকেটকিপার স্যামসন বল ছুড়ে মারেন জাদেজার প্রান্তে। বল লাগে জাদেজার গায়ে। তবে জাদেজা বলের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। ফলে থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
তবে জাদেজার বিদায়েও খুব একটা ক্ষতি হয়নি চেন্নাইয়ের। কারণ লক্ষ্যটা তখনও হাতের মুঠোয়। পরের দুই ওভারে আসে ১৬ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাকি কাজ সারেন সমীর রিজভী। এই জয়ে টিকে রইলো চেন্নাইয়ের প্লে-অফ স্বপ্ন।