অরুন নাথ : আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস হল নৃত্যের একটি বৈশ্বিক উদযাপন , যা ইউনেস্কোর পারফর্মিং আর্টসের প্রধান অংশীদার ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) নৃত্য কমিটি দ্বারা তৈরি। দিবসটি সারা বিশ্বে ২৯ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠান এবং উৎসবের মাধ্যমে নৃত্যে অংশগ্রহণ এবং শিক্ষাকে উৎসাহিত করার চেষ্ঠা করে। ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে আইটিআই কে অনুষ্ঠানের নির্মাতা এবং সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র পালন করে থাকেন । ফরাসি নৃত্যশিল্পী তথা আধুনিক ব্যালের রূপকার জাঁ-জর্জেস নভেরের জন্মদিনে ইউনেস্কোর ‘পারফর্মিং আর্টস ‘ ১৯৮২ সালে প্রথম বার আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন শুরু করেন।
বিবেকানন্দ সঙ্গীত নিকেতেনের উদ্যোগে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ব নৃত্য দিবস উপলক্ষে নৃত্যানুষ্ঠান ‘‘পুষ্পাঞ্জলি’’ মনমুগ্ধকর নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগ করলো দর্শক-শ্রোতারা থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা।
এরপর উদ্বোধনী নৃত্য আনন্দ ধারা বহিছে রবীন্দ্র সংগীত এর একঝাঁক শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা ছিল নজরকারা। এরপর শুরু হয় বিশ্বনৃত্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা রামকৃষ্ণ –বিবেকানন্দ ট্রাস্ট্রের সম্পাদক তাপস হোড়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব শীলা মোমেন,বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত ও বিবেকানন্দ বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ প্রফেসর নারায়ন কান্তি চৌধুরী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন রামকৃষ্ণ –বিবেকানন্দ ট্রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি দুলাল কান্তি মজুমদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিবেকানন্দ সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ মানু মজমুদার।
বক্তরা বিশ্ব নৃত্য দিবসের তাৎপর্য তোলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে কণ্ঠ সঙ্গীত বিভাগ হতে প্রবেশিক্ষা থেকে ৬ষ্ঠ বর্ষ সাত বছর মেয়াদী কোর্স সমাপ্তকারী কোহেলী মজুমদার, স্নেহ চৌধুরী বর্ষা, অংকিতা দেব, অনন্যা দাশগুপ্ত। যন্ত্র সঙ্গীত তবলা বিভাগ হতে সৌম্যজিত মিত্র, প্রণব রুদ্রের হাতে সার্টিফিকেট তোলে দেন অতিথিরা।
নৃত্যানুষ্ঠান ‘পুষ্পাঞ্জলি‘ ভরত নাট্যম এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় এতে ৩য়,৪র্থ, ৬ষ্ঠ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন , প্রথম প্রদীপ জ্বালো মম ভবনে নজরুল সংগীতের তালে তালে প্রবেশিক্ষার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এরপর ধাধিনা নাতিনা ধাধিনা সাধারণ নৃত্য অংশ নেন প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীরা। মায়াবন বিহারিনী সাধারণ নৃত্য ,কলাবতী কথক নৃত্যে ১ম বর্ষ শিক্ষার্থীবৃন্দ। আবৃত্তির উপর নৃত্য কবি প্রণাম, মম চিত্তে নিতি নৃত্যে , এরপর ফিউশন নৃত্য , লোকনৃত্য সবশেষে যদি আবার জন্ম নিই তুমি যেন হয় বাংলা দেশের গান সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শেষ হয় বিশ্ব নৃত্য দিবসের অনুষ্ঠান ।
কানায় কানায় পরির্পূণ ছিল হলরুম, দর্শক-শ্রোতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি, অনেকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখাগেছে। সেই সাথে বিবেকানন্দ সঙ্গীত নিকেতনের প্রথম থেকে ৬ষ্ঠ বর্ষ পযন্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, কৌশল বিনিময় যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল, খুবই সুন্দর প্রাণবন্ত সময়পোযোগী অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য বিবেকানন্দ সঙ্গীত নিকেতনের পরিচালক ও শিক্ষকদের সাধুবাদ জানান, যেন আগামীতে এরকম আরো অনুষ্ঠান আয়োজন করেন ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রূপশ্রী সেন গুপ্ত ও প্রিয়ম কৃষ্ণ দে, অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাস্ট্রে সদস্য বিকাশ মজুমদার।