চট্টবাণী: লালদীঘির মাঠে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জব্বারের বলীখেলায় প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এবার ১১৫তম আসর বসছে ঐতিহ্যবাহী এ কুস্তি প্রতিযোগিতার।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন।
অতিথি থাকবেন বলীখেলার এবারের পৃষ্ঠপোষক এনএইচটি হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসির।
শওকত আনোয়ার বাদল জানান, এবার চ্যাম্পিয়ন বলীকে ট্রফি ছাড়াও ৩০ হাজার টাকা, রানার আপ বলীকে ২০ হাজার টাকা, তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ১০ হাজার টাকা ও চতুর্থ স্থান অধিকারীকে ৫ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হবে। সোমবার থেকে লালদীঘি মাঠে বলীখেলার জন্য বালুর মঞ্চ তৈরি কাজ শুরু হবে। ২০ বর্গফুটের মঞ্চ তৈরি হবে। খেলার আগের দিন ও পরের দিন মিলে তিন দিনের বৈশাখী মেলায় অংশ নিতে পসরা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন গৃহস্থ, বেপারী ও দোকানিরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে লালদীঘি ও আশপাশের এক বর্গ কিলোমিটারজুড়ে মেলার আমেজ চলছে। চৌকি ফেলে জায়গা দখল করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রাকে ট্রাকে আসছে পণ্যসামগ্রী। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার ফটকের সামনে হাজার হাজার ফুলঝাড়ুর স্তূপ। পেট্রল পাম্প এলাকায় ঢাকা থেকে আনা মৃৎশিল্প সামগ্রীতে রং করা হচ্ছে। কাঠের আসবাব, বেতের সামগ্রী, গৃহস্থালিপণ্য, হাতপাখা, ফলের চারা, মুখরোচক খাবার, মৌসুমি ফলের স্টল বসছে ক্রমবর্ধমান হারে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে বিক্রেতাদের আশা এবার মেলায় বিকিকিনি জমবে।
জহর লাল হাজারী বলেন, সারা দেশে জব্বারের বলীখেলার মেলার সুনাম আছে। এখানে মেলা কমিটি কোনো ধরনের চাঁদা নেয় না। মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেউ চাঁদা দাবি করলে যাতে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কুটির শিল্পসামগ্রী এনে মেলায় বিক্রি করেন উদ্যোক্তারা।