মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির তান্ডব ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় উপজেলাজুড়ে। বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে টিনের ঘরের চাল ফুটো হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয় গুটি বাঁধা আম। কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫-১২ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে বন্ধ ছিলো বিদ্যুৎ সরবরাহ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোররাতে শুরু হওয়া আচমকা এ ঝড়ের সাথে প্রকান্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ চরে ৩টি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এতে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।
বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির সময় ফেসবুক লাইভে এসে মিঠাছড়ার বাসিন্দা সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী মনজুর মোরশেদ ভূঁইয়া লিখেন, ‘আমার মিঠাছড়া গ্রামের বাড়িতে নজিরবিহীন শিলাবৃষ্টি। আমার লাইফে এতবড় শিলা এবং এতক্ষণ যাবৎ শিলাবৃষ্টি কখনো দেখিনি। সেই সাথে ভয়ংকর বজ্রপাত।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘরের টিন ফুটো হয়ে যাওয়ার একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হঠাৎ করে এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। খেটে খাওয়া অনেক পরিবার ঘরের চালে নতুন টিন কিভাবে দিবেন তা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
আচমকা কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে উপজেলা প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভোররাত থেকে শুরু হওয়া বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে কৃষকদের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কাঁচা ও টিনশেড ঘরগুলোর টিন ফুটো হয়ে গেছে। এতে মানুষ দুর্বিপাকে পড়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও কৃষকদের ন্যায্য সহযোগিতা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ভোরে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি পড়েছে। এতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।