ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর হামলা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এর পর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জিত হয় বিজয়। প্রতিষ্ঠিত হয় সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ইতিহাস ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগ এবং কোটি বাঙালির বীরত্বের ইতিহাস।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এ দিবসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল বাদ্য বাজাবেন।
এদিকে, মহান স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। একুশ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানমালার সূচনা হবে। এরপর স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃতিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জাতির বীর সন্তানদের।
শহীদ মিনার ও ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন সর্র্বস্তরের মানুষ। সরকারি দল আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন দিবস উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জেলা ও বিভাগী প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলসহ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগেও বিস্তারিত কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে আছে আলোচনা সভা, শহীদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত, র্যালি, চিত্র প্রর্দশনী ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান।