কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব পুইরছড়া খঞ্জনীর বাপেরঘোনা পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় তিনজনকে আটক এবং কারখানা থেকে দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে ফরিদুল আলম (৫৪),ফরিদুল আলমের ছেলে জিসাদ প্রকাশ সোনা মিয়া ও তার ভাই বাহিমকে আটক করা হয়। র্যাবের দাবি আটক তিনজন, অস্ত্র তৈরি ও বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদির মধ্যে লোহার তৈরি ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, করাত, চারটি লোহার পাইপ, দুটি লোহার ব্যারেল, হেক্সোব্লেড, দুটি লোহা কাটার ব্লেড, ৬০টি ওয়াশার, দুটি পাঞ্চিং রড, দুটি বড় নাট, রেঞ্চ, স্টিল সিড, তিনটি লোহার অংশ ও লোহার ব্রাশসহ অস্ত্র তৈরির আনুষাঙ্গিক ছোট-বড় ৫০টি অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে বলে জানান আবু সালাম চৌধুরী।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ হচ্ছে, এমন গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সেখানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পাহাড়ি এলাকায় গড়ে তোলা অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা দূর্গম পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে এ চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়। তবে এ সময় অস্ত্র তৈরির অন্যতম কারিগর বাদশা মিয়া দূর্গম পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় বল জানান আবু সালাম চৌধুরী।
এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজনই অস্ত্র তৈরির কারখানাটি বাদশা মিয়ার বলে জানান।