নিজস্ব প্রতিবেদক: ছয় মাসের মধ্যে মাটির নিচে যাবে লালখান বাজার, জামালখান ও বাগমনিরাম ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন ৷ এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। আজ চট্টগ্রামে এক নতুন যুগের সূচনা হলো।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল (তার) ব্যবস্থাপনা হলে বৈদ্যুতিক পিলারে দুর্ঘটনা কমবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে৷ আবার তার কাটা ও চুরি রোধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে।
বাণিজ্যিক নগর হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব আছে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে তারের জঞ্জালের জন্য। নগরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে চাই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩টি ওয়ার্ডের ঝুলন্ত ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নেব আমরা ৷ এরপর তিন ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পুরো নগরের ডিশ-ইন্টারনেটের তার ভূ-গর্ভে নেব আমরা ৷
অনুষ্ঠানে সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আল ইসলাম বলেন, ড্রেনেজ এবং স্যুয়ারেজ সিস্টেম কাজে লাগিয়ে ডাক্টিং করে আমরা জলনিরোধক ফাইবার অপটিক অবকাঠামো গড়ে তুলব। ’ফাইবার টু দ্যা হোম’ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মূল সড়ক থেকে অলি-গলি এবং সেখান থেকে প্রতিটি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে।
আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে কোনো আইএসপি যত ইচ্ছা গতির সংযোগ নিতে পারবে। সেবা প্রদানে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না। এছাড়া, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ডিশ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল ডিশ ক্যাবল চালু করবে এ বিষয়টিও মাথায় রাখব আমরা। ৩টি ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পুরো শহর তারের জঞ্জালমুক্ত করব আমরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শৈবাল দাস সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, বোর্ড ডিরেক্টর ফাদিয়া খান প্রমুখ।