মো: ওমর সিয়াম: বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংক বুথে ভ্রমন করের রশিদ (ট্যাক্স টোকেন) না থাকায় ভারত ভ্রমনে যাওয়া যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংক বুথ থেকে কোন যাত্রী ভ্রমন করের ট্যাক্স কাটতে পারেনি। পরে অনলাইনের ব্যবস্থা চালু করলেও এক একটি ট্যাক্স কাটতে দীর্ঘ সময় লাগছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারন যাত্রীরা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ভ্রমনকরের রশিদ তো আর একদিনে শেষ হয়ে যায়নি। আগে থেকে রশিদ বই ছাপানো উচিত ছিল বা সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দেশের অন্য কোন সোনালী ব্যাংক কিম্বা অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধ করে তারপর বর্ডারে আসার কথা বললে আজকে এই শীতের সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করা লাগতো না।
এ অবস্থায় বুথের মধ্যে চারটি ডেস্কের দুটিতে অনলাইনে ভ্রমণকর কাটতে দেখা গেলেও এক একটি ভ্রমনকর দিতে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগছে। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
ভারত ভ্রমণে আসা ঢাকার যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, ভারতে বেড়াতে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশে আজ ভোর ৫ টা থেকে ভ্রমণকর দেওয়ার জন্য বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সকাল ৬ টা ২৫ মিনিটের সময় ব্যাংকের লোকজন জানায় ভ্রমণকরের রশিদ শেষ। অনলাইনে দিতে হবে সময় লাগবে। তখন ভ্রমণের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে গেল।
বেনাপোল চেকপোস্টের রয়েল কোচ পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আমার পরিবহন রয়েল কোচের দুটি গাড়িতে ৫২ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য আসে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য পরিবহনের লোকজন ব্যাংকে গেলে ভ্রমণকর কাটতে না পেরে ফিরে এসে বাইরে থেকে ওই যাত্রীদের অনলাইনে ভ্রমণকর দিয়ে ২ ঘন্টা পর তাদের ভারতে পাঠানো হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, হঠাৎ করে ব্যাংকে ভ্রমণকরের রশিদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়েছিলাম। রশিদ বই ছাপানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন।