ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক সমিতি।রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষক সমিতির দাবি ছিল নতুন বাস দিতে হবে। আমি কয়েকদিন আগেই কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাস যুক্ত করেছি।
শিক্ষকদের পারিতোষিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার গেস্ট হাউজে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছি। মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে সিনিয়র শিক্ষকদের টেলিফোন বিল প্রদান করেছি। চট্টগ্রামে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য ফ্ল্যাট অথবা ভবন ক্রয়ে কমিটি করে দিয়েছি। শিক্ষক সমিতি বাংলা ও আইন বিভাগের নিয়োগ স্থগিত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে।
'আমি যখন এগুলো সমাধান করতে গেলাম, তারা পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করলো। তাদের উদ্দেশ্য যদি দাবি আদায় হয়, তাহলে তাদেরতো আলোচনায় বসে সমাধান করতে হবে। আমার দরজা খোলা। আমি যেকোনো সময় আলোচনায় বসে সকল দাবি পূরণের মানসিকতা রাখি। এটা অতীতেও আমি করেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শিক্ষক সমিতির ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।
প্রফেসর শিরীণ আখতার বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রী সভা গঠনের পরদিন থেকে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সরকার বিরোধী পত্রিকায় নিউজ করিয়েছে। তা এখন ব্যানারে প্রিন্ট করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাটিয়ে দিয়েছে। তবুও আমি বলেছি, আইন অনুষদের বিষয়টি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বসেই সমাধান করবো। তারা যেকোনো মুহূর্তেই আসতে পারে। আমি চিঠি দিয়ে রেখেছি। বারবার কল দিয়েছি সভাপতি মহোদয়কে।
উপাচার্য বলেন, আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে বারবার কল করেই যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে দুই জন সিনিয়র প্রফেসর গেছেন ওনাদের কাছে। ওনারা আসছেন না। ওনাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ আমি স্থগিত রেখেছি৷ আইন অনুষদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির আলোচনা করে আমি সমাধান করতে চাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। ওনাদের আলোচনায় বসা উচিত।
তিনি বলেন, ২৬ দফা দাবির ২০ দফা আমি অনেক পরিশ্রম করে বাস্তবায়ন করেছি। মাঝেমধ্যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকে তালা দেয়। ট্রেন আটকে দেয়। ভাঙচুর করে বসে। এসবতো দীর্ঘদিনের সমস্যা। চাইলেই একদিনে সমাধান সম্ভব নয়। শিক্ষক সমিতি বলে, এসব আমাদের সমাধান করতে হবে। আমার কথা হলো, এসব দাবি সম্মিলিত প্রয়াসে সমাধান করতে হবে। ব্যাপারগুলো রাজনৈতিক।