ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০২৩’ এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও খুলনা নৌ অঞ্চলে সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক (মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খানের স্কুল অব মেরিটাইম ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (এসএমডব্লিউটি) এবং খুলনায় নৌবাহিনী ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর ফেয়ারওয়ে মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে অনুষ্ঠিত সেমিনার দুটিতে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল খোন্দকার মিসবাহ উল আজীম এবং খুলনায় নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার কমডোর জাহাঙ্গীর আদিল সামদানী প্রধান অতিথি ছিলেন।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তায় সামুদ্রিক খনিজ সম্পদের ব্যবহার, মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সমুদ্র সম্পদের নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সেমিনারে বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, বিএনসিসি, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এবং অন্যান্য মেরিটাইম সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
খুলনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বঙ্গোপসাগরে সম্পদ সংরক্ষণ ও এর টেকসই ব্যবহারে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অবদান’, ‘মোংলা বন্দরে জাহাজ প্রবেশের জন্য টেকসই ড্রেজিং কৌশল পরিকল্পনা প্রণয়ন’, ‘সমুদ্রে নেভিগেশন ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন’, ‘বন সংরক্ষণ ও অবৈধ চোরাচালানের হাত থেকে বন সম্পদ রক্ষা করা’, ‘অভ্যন্তরীণ নৌপথের চ্যালেঞ্জগুলো এবং এর থেকে উত্তরণের উপায়’ ও ‘সামুদ্রিক বাণিজ্য সুসংহত করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অবকাঠামো উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেমিনারে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্ট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিন, বিআইডব্লিউটিএ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।