খেলাধুলা ডেস্ক: কুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। গ্যালারিতেও খুব বেশি মানুষের উপস্থিতি নেই।
তবে এ অবস্থাতে ছন্দটা ঠিকই খুঁজে পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। ব্যাট হাতে বড় রান করার পর বল হাতেও প্রতিপক্ষকে অল্পতে গুটিয়ে দিয়েছে তারা।
শনিবার সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৭৯ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে তারা। জবাব দিতে নেমে ১০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ঢাকা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় রংপুর রাইডার্স। ১৩ বলে ২০ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তার বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ নেন আলাউদ্দিন বাবু। রনি তালুকদার ফেরেন আরাফাত সানির বলে। ৭ বল খেলে ১১ রান করেন তিনি।
এরপর বাবর আজমের সঙ্গে ভালো একটি জুটি গড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৩৯ বলে ৫০ রানের ওই জুটি ভাঙে সানির বলে সোহান এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে।
তৃতীয় ম্যাচে এসে দ্বিতীয়বারের মতো হাফ সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ বলে ৬২ রান করে গুনাথিলাকার বলে লং অফ দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে মেহরব হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ক্রিজে এসে রীতিমতো ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। যদিও আট উইকেট হারালেও এদিন ব্যাট করতে নামেননি চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিব আল হাসান। ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন আরাফাত সানি।
বড় রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি দুর্দান্ত ঢাকা। ইনিংসের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শূন্য রান করা গুনাথিলাকা। আরেক ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৯ রান।
দলের হয়ে একই লড়াই করেন অ্যালেক্স রস। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫১ রান করে মাহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ বলে ১৪ রান আসে সায়েম আইয়ুবের ব্যাট থেকে। রংপুরের হয়ে মাহেদী তিনটি, ওমরজাই ও হাসান নেন দুটি করে উইকেট।