চট্টবাণী: সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলমের বাবা হজরত খাজা আবদুল হাকিম শাহ্ আল মাইজভাণ্ডারীর (র.) তিন দিনব্যাপী ২৮তম ওরস সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া, মজমুয়ায়ে সালাতে রাসুল (সা.) মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও হজরত খাজা আবদুল হাকিম শাহ্ আল মাইজভাণ্ডারীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা ইত্যাদি।
ওরস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ২০ হাজার মানুষকে তবাররক বিতরণ করা হয়। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউসিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশিন হজরত শাহসুফি ছৈয়দ নাজমুল হুদা আল মাইজভাণ্ডারী, হজরত শাহছুফি ছৈয়দ নাজিম উদ্দিন আল মাইজভাণ্ডারী ও দরবারে মুসাবিয়ার হজরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ তৈয়ব উল্লাহ সিদ্দিক (ম.জি.আ)।
আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান আলী, মিসেস দেলোয়ারা বেগম, মোহাম্মদ সাইফুল আলম। সংসদ সদস্য এসএম আল মামুনকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করেন মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ নিজামুল আলম ও কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর। পরিচালনায় ছিলেন অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।
এসএম আল মামুন বলেন, হজরত খাজা আবদুল হাকিম শাহ্ আল মাইজভাণ্ডারী একজন খাঁটি অলি আউলিয়ার আশেকান ও খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি আজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। নিঃস্বার্থভাবে মানবকল্যাণ করে গেছেন। পার্থিব জীবনের প্রতি তাঁর কোনো মোহ ছিল না।
মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, আমার বাবার দোয়ায় আমরা আজ প্রতিষ্ঠিত। ধন, সম্পদ টাকা-পয়সা সবই আল্লাহর নেয়ামত। আমরা আল্লাহর পথে অলি আউলিয়াদের খেদমতে, আর্তমানবতার সেবায় উপার্জিত ধন সম্পদের একটি অংশ ব্যয় করে যাচ্ছি। বাবার দেখানো পথই আমাদের সব কর্মকাণ্ড। সেবার অংশ হিসেবে আমরা ১০৩টি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এ সব প্রতিষ্ঠান মানবকল্যাণে নিবেদিত।
মোনাজাত পরিচালনা করেন হজরত তৈয়ব শাহ (র.) জামে মসজিদের খতিব সৈয়দ ইউনুচ রজভী। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।