চট্টবাণী: শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব মহোৎসব হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। সৎসঙ্গ শ্রীমন্দির, ফতেয়াবাদ আয়োজিত এ উৎসবে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।
উৎসব উপলক্ষে আগের দিন বৃহস্পতিবার ৬টি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ‘শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবাদর্শে যুবসমাজের উন্নয়ন এবং আচার্য্য পরম্পরা’ শীর্ষক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দন ভট্টাচার্য, এসপিআর। সৎসঙ্গ শ্রীমন্দির, ফতেয়াবাদ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুনীল কান্তি চক্রবর্তী এসপিআরের সভাপতিত্বে ও অসীম চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এসপিআরদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধান আলোচক সুভাষ আচার্য্য, তমাল দাশগুপ্ত, অসীম আচার্য্য প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্বর্য্যু অমল চক্রবর্তী।
এর আগে দুপুরে ‘আদর্শ জাতি গঠনে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক মাতৃসম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন রত্না চক্রবর্তী। মঞ্জু ধরের সভাপতিত্বে ও অপর্ণা গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন মঞ্জুলা ব্যানার্জী, টিউলিপ সেন, সাবিত্রী রাণী দে প্রমুখ। সন্ধ্যায় শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবাদর্শে লীলাকীর্তন পরিবেশন করেন অমল দাশ ও তাঁর কীর্তনীয়াদল। ওই দিন ভোরে ঊষাকীর্তন, বিনতি প্রার্থনা, সকালে সমবেত প্রার্থনা, শ্রীশ্রীমদ্ভাগবদগীতা পাঠ, শ্রীশ্রীঠাকুর প্রবর্তিত ছড়াগান ও ভক্তিগীতিসহ গত শুক্রবার দিনব্যাপী ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম শুভ আবির্ভাব মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, সেবা ও মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত সৎসঙ্গ। মানুষকে আপন করে তুলতে সৎসঙ্গের শিক্ষা অনুকরণীয়। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জীবন দর্শন মানুষকে সৎপথে পরিচালিত হতে অনুপ্রাণিত করে। সৎসঙ্গ মানুষ তৈরির কারখানা।