চট্টবাণী ডেস্ক: সরকারের বর্তমান মেয়াদে কর্মসংস্থানের ওপরই জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রতিবছর ২০ লাখ কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থান তৈরিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবে।
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রথম অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমরা কর্মসংস্থান তৈরি করার কথা বলেছি। প্রতিবছর ২০ লাখ কর্মসংস্থান হবে। সে ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। সরকারি পদগুলো পূরণ করাসহ বেসরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদগুলো করা। বেসরকারিভাবেও যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কাজ করবো। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময়ই প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি চাই, প্রযুক্তিগতভাবে আমাদের কর্মকর্তারা দক্ষ হবে। আমরা সবগুলোতে জোর দিচ্ছি।
তিনি বলন, নির্বাচনের যে ইশতিহার দিয়েছি, তা বাস্তবায়নে আমাদের মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে ও কাজ করবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বেকারের সংখ্যা এখন তিন শতাংশ। এটা আরও কমিয়ে আনতে চাই। আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো রয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা থাকবে।
ক্যাডার বৈষম্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা আমরা আগে থেকেই দেখার চেষ্টা করছি। আমাদের সামনের দিনগুলোতে কাজ করার সুযোগ থাকবে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
নতুন মেয়াদে আপনার অগ্রাধিকার কী হবে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন, আগামী পাঁচ বছর সে অনুসারে কাজ করবো। এরইমধ্যে আমার একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে, যা আমার জন্য অনেব বড়ো কিছু। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তিনি আবার আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। আমি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, গেল পাঁচ বছরে আমি কাজগুলো বুঝে নিয়েছিলাম। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরপর তিনবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন। সে হিসেবে আমাদের জনবলকে সুপ্রশিক্ষিত করেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাজেটের আকার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি, সরকারি কর্মকর্তারা দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে সেগুলো সম্পন্ন করতে পেরেছেন। কারণ কর্মকর্তাদের যথামানুষগুলোকে যথাজায়গাতে বসাতে পেরেছি। রাইট ম্যান রাইট প্লেসে যে স্লোগান ছিল, সেটি যথাযথ বাস্তবায়ন করেছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের মাঠপ্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় লোকবলগুলোকে সঠিক জায়গায় দিতে পেরেছি।