• জাতীয়

    অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় জামিন পেলেন উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিক

      প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ১০:১৪:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    চট্টবাণী ডেস্ক: রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেনস ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিউটি পার্লারের চেঞ্জিং রুমসহ বিভিন্ন অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফারনাজ আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম কর্ণধার।




    শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এর আগে সন্ধ্যায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার আগে সকালে তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    জানা গেছে, ফারনাজকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে তদন্ত প্রতিবেদন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খোকন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

    সিএমএম আদালতে ধানমণ্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ে উল্লেখ রয়েছে আসামি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই মর্মে আসামিপক্ষ মেডিকেল ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন। তাই আদালত ৫ হাজার টাকা বন্ডে পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন।




    উল্লেখ্য, দুবাই থেকে ঢাকা ফেরার পর বিমানবন্দর থেকেই শনিবার সকালে ফারনাজ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে আটকের তথ্য পেয়ে তাকে হেফাজতে নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এর আগে মামলার অন্য তিন আসামি তসলিম আরিফ ইলিয়াস, এমদাদুল হাসান ও জুয়েল গ্রেপ্তার হন। তারাও জামিনে রয়েছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    গত ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জানান, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন রাতে উইমেনস ওয়ার্ল্ড নামে পার্লারটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় পুলিশ সেখানকার চেঞ্জিং রুম ও অন্যান্য স্থানে স্থাপিত আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং আটটি ডিভিআর বক্স খুঁজে পায়।




    এ সময় তসলিম আরিফ ইলিয়াস, এমদাদুল হাসান ও জুয়েল নামে তিনজন গ্রেপ্তার হন। তারা সবাই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তারা দাবি করেছেন সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো মালিকদের নির্দেশে স্থাপন করা হয়েছিল।

    ওসি পারভেজ জানান, যে নারী অভিযোগ করেছিলেন তিনি মামলা করতে চাননি। পরে থানা থেকে মামলা করা হয়।

    সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে পাওয়া ফুটেজগুলো কোনো অপরাধমূলক বা বেআইনি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে হাইকোর্ট দেশের সমস্ত বিউটি পার্লারের সার্ভিস রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানোর নির্দেশ দেন।

    আরও খবর 17

    Sponsered content