চট্টবাণী: চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট বাতিল হয়েছে বাঁশখালী আসনে। এই আসনে প্রদত্ত ভোটের প্রায় ২৯ শতাংশই বাতিল হয়েছে।
যা জয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের চেয়েও বেশি। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে এবার ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জন।
তাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৯৬৮টি ভোটই বাতিল হয়েছে। এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মুজিবুর রহমান সিআইপি। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট। অর্থাৎ লিটনের পাওয়া ভোটের চেয়ে বেশি ভোট বাতিল হয়েছে।
যে কারণে ভোট বাতিল
রোববার (৭জানুয়ারি) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট আগে এই আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘তিনি (মোস্তাফিজুর) আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন, তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন৷ সব বিবেচনায় নিয়ে কমিশন তার প্রার্থীতা বাতিল করেছে’। প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় মোস্তাফিজুরের পক্ষে দেওয়া ভোটগুলো আর গণনার প্রয়োজন পড়েনি। সেগুলোকে বাতিল তালিকায় রাখা হয়।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বাঁশখালী আসনে ওই প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। সেজন্য তার প্রাপ্ত ভোটগুলোকে বাতিল ভোট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সে কারণে এই আসনে বাতিল ভোটের সংখ্যা তুলনামূলক একটু বেশি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন বাঁশখালী আসনের এক প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছেন, সেহেতু তার ভোটগুলো গণনা করা হয়নি।