চট্টবাণী: নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বেড়েছে সহিংসতার ঘটনা। যদি এ সহিংসতা বাড়তে থাকে তাহলে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে।
সন্দ্বীপ ও মীরসরাইয়েও কিছু ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের আমরা গ্রেফতার করেছি। নির্বাচন পর্যন্ত যদি এ ধরনের ঘটনা চলমান থাকে, তাহলে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। কোনোভাবেই কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না এবং সে ধরনের কিছু করতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দূরবর্তী এবং রিমোট এলাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য বেশি করে ফোর্স ডেপ্লয় করা হবে। ৭৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দিন সামারি ট্রায়াল (সংক্ষিপ্ত বিচার) সম্পন্ন করবেন। ৭ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারবেন। ’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ করতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদরা কাজ করছেন। এছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সন্দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আর অপর তিনটি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।