চট্টবাণী: জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত এবং মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী নেদারল্যান্ডস থেকে আনা নয়টি কুকুর নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে যুক্ত হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই নয়টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী।
এ স্কোয়াডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে-নাইন ইউনিট'।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিক মহড়ার মধ্য দিয়ে এই ডগ স্কোয়াডর উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
এ সময় সিএমপি কমিশনার বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আধুনিক, নিত্য নতুন ও বিশেষ কৌশলে সংঘঠিত অপরাধ মোকাবেলার জন্য কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো, অপারেশনাল কাজে ব্যবহার, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য চিহ্নিতকরণ ও বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্তকরণসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। সিএমপিতে ডগ স্কোয়াড সংযোজনের মাধ্যমে সিএমপির অপরাধ দমন সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল।
এদিকে সিএমপি থেকে বলা হয়েছে, নগরের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ডগ স্কোয়াডের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০টি ক্যানেল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। যেখানে রয়েছে ডগের পরিচর্যা কেন্দ্র, গ্রুমিং স্পেস, রান্না ঘর, শাওয়ারের ব্যবস্থা, নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কাঠামো। ভবনে সার্বক্ষণিক সিসি টিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে। কে- নাইন ইউনিটে’নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। তারা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
এই ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কুকুরগুলো বাংলাদেশে আনা হয় গত বছর। অবকাঠামো না থাকায় এতদিন সেগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াডের’ সঙ্গে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই নয়টি কুকুর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গঠন হওয়ার পর থেকে সোয়াট, বিডিইউ, সাইবার টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম নগরের জঙ্গি, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ, সাইবার ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।