চট্টবাণী: ট্রেনে নাশকতা প্রতিরোধে স্টেশনসহ বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে আইপি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে, এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কাকরাইল চার্চে বড়দিন উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, দুস্কৃতকারী এবং নাশকতাকারীরা বিভিন্ন কর্মসূচির নামে নির্বাচনবিরোধী কার্যক্রম প্রকাশ্যে করতে পারছে না। কারণ তাদের কর্মসূচিতে জনসমর্থন নেই। আমরা সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমরা সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছি।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারপরেও নাশকতামূলক দুই-একটি কর্মকাণ্ড ঘটছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ নাশকতাকারীদের ধরে আমাদের হাতে দিচ্ছে। মানুষ আমাদের সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, ট্রেনের নাশকতা প্রতিরোধে ট্রেনের কম্পার্টমেন্ট সিসি ক্যামেরা বাইরে কৌশলগত স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে আমরা আইপি ক্যামেরা স্থাপন করছি। এ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ কার্যক্রম আমরা শেষ করতে চেষ্টা করবো।
এছাড়া রেলের স্থাপনাসহ, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশসহ আমাদের সহায়তার জন্য আনসার বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতাকারী ও দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দেশের পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করলে বা কোথাও কেউ প্রতিপক্ষকে আক্রমণের চেষ্টা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে আইজিপি বলেন, সারা দেশে সব গির্জাতে বড়দিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বড়দিনের অনুষ্ঠানে তাদের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বড়দিনের অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত করতে আমরা পাশে আছি।