চট্টবাণী: ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশীদ অসংরক্ষনের মতো অনিয়ম এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে মেসার্স মেহের আলী ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মোহাম্মদ আলি আহম্মদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ব্যবসায়ীদের দাবি বেশি দামে কেনার কারণে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পাইকারি বাজার থেকে। পাইকারি দোকান থেকে সংগ্রহ করা রশিদে দেখা যাই সৌমিক ট্রেডার্স , আবুল বশর এন্ড সন্স, মেসার্স মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন , মেসার্স জান্নাতুল মাওয়া এই আড়তগুলো থেকে কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯৮ টাকায় পাইকারি দোকানে বিক্রি হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করে দেন। অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজ সহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পরে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, কোনো আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ কিংবা এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে জেলা প্রশাসন মজুদ করা পণ্য জব্দ করতে পারে। আড়ত এবং বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা, পণ্য জব্দ, আড়ত-দোকান সিলগালাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে বসে তাদের মতামত, পরামর্শ, যুক্তি উপস্থাপন করবে।