বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে তার মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের লামচরী জামে মসজিদের পাশের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে রাত ৮ টায় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও স্থানীয় লোকজন ও মসজিদের মুসুল্লিরা অংশ নেয়।
তার আগে সন্ধ্যা ৭ টায় এ্যাম্বুলেন্সযোগে হুমায়রা হিমুর মরদেহ তার নানার বাড়ি লক্ষ্মীপুর শহরের লামচরী পুরাতন গো-হাটা সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে আসা হয়। আত্মীয়-স্বজন মরদেহ এক নজর দেখার পর রাত ৭ টা ২০ মিনিটের দিকে মরদেহ জানাজার স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে বাদ এশা জানাজা পড়ান ওই মসজিদের ইমাম।
হুমায়ারা হিমুর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী কামরু বলেন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লামচরী জামে মসজিদের সামনে রাত সোয়া ৮টার পর বাদ এশা দ্বিতীয় জানাজা শেষে মসজিদের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এটি তার নানার এলাকা। তার দাদার বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। তবে ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতেই থাকত সে।
তিনি জানান, মা শামিম আরা চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হিমুর বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। হিমু বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ দুই মাস আগে মারা যান। তার মা শামীম আরা চৌধুরী ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তার মায়ের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ছিল না, হিমু যখন ছোট ছিল, তখন তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
হুমায়রা হিমু ক্যারিয়ার শুরু করেন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজের মাধ্যমে। টিভি নাটকে অভিনয় শুরুর পর নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তার অভিনয় দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘বাটিঘর’, ‘শোনে না সে শোনে না’, ‘কমেডি-৪২০’, ‘চাপাবাজ’, ‘অ্যাকশান গোয়েন্দা’, ‘ছায়াবিবি’, ‘এক কাপ চা’, ‘এ কেমন প্রতিদান’, ‘হুলো বিড়াল’, ‘ছন্নছাড়া ৪২০’, ‘অ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার’, ‘পাগলা প্রেমিক’ ইত্যাদি নাটকে দেখা গেছে তাকে।
২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় হিমুর। সিনেমাটিতে তরু আপা চরিত্রে দেখা যায় তাকে।