চট্টবাণী: পর্যটনপ্রেমীদের বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। আর মাত্র এক সপ্তাহ পর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওইদিন তিনি কক্সবাজারের রামুতে সুধি সমাবেশ করবেন। এরপর মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে আনুষ্ঠানিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীন বলেন, ৭ নভেম্বর রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ট্রায়াল রান হবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতুর মেরামত কাজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সেখানে ট্রায়াল হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের জন্য একাধিক নতুন ট্রেন চালুর সময়সূচি এবং ট্রেনের ছয়টি নাম প্রস্তাব করে পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে ঢাকা রেল ভবনে পাঠানো হয়েছে। ৭ নভেম্বর রেলমন্ত্রী এসব ট্রেনের সময়সূচি ঘোষণা করবেন।
চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০-২৫ নভেম্বর হতে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া এবং ঢাকা থেকে এক জোড়া ট্রেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে থেকে আসা-যাওয়া করবে। তিনটি ট্রেনই আন্তনগর। তবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। ট্রেনটি অন্য কোনও স্টেশনে দাঁড়াবে না। সরাসরি কক্সবাজার যাবে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো মাঝপথে কয়েকটি স্টেশনে দাঁড়াবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পটি ২০১০ সালে অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প সংশোধনে ব্যয় বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে খরচ ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। কক্সবাজার-ঘুমধুম ২৮ কিলোমিটার রেলপথ মিয়ানমারের আপত্তিতে এখনও নির্মাণ শুরু করা যায়নি।