চট্টবাণী: ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে চট্টগ্রামের ৬ উপজেলায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাঁশখালী উপজেলায়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় হামুন। হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিহত দুই নারী। আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এছাড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়েছে।
চট্টগ্রামে জেলা ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং কর্ণফুলী উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র পেয়েছি। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়ায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাণ্ডবে দুইজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন প্রায় ৮৫ জন। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কয়েকটি উপজেলায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে এক লাখ ১১ হাজার মানুষ হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ হাজার ৭৮৪টি বাড়ি আংশিক এবং ২৮৩টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বনাঞ্চলে গাছপাড়া বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মৎস্য খাতে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত গবাদি প্রাণীর মধ্যে ১১টি গরু এবং ভেড়া ও ছাগল মিলিয়ে ৭০ টির মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসন।