খেলাধুলা ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর উইকেট মানেই যেন রানবন্যা। বিশ্বকাপেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
আগে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে ৩৬৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর আজ পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তারা। কিন্তু শুরু থেকে তাদের বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। দুই ওপেনার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ২৫৯ রান। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে বরাবরই ভালোবাসেন ওয়ার্নার। এনিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। ৩১তম ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজ বলে সিঙ্গেল নিয়েই স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ২১তম সেঞ্চুরি। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা সেঞ্চুরি করার রেকর্ডে বিরাট কোহলিকে ছুঁয়েছেন তিনি। ২০১৭-১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ৪ সেঞ্চুরি হাঁকান কোহলি।
ওয়ার্নার সেঞ্চুরি পাওয়ার ঠিক পরের বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শও। ৩২তম জন্মদিনটা কী দুর্দান্তভাবেই না রাঙালেন ডানহাতি এই ওপেনার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে খরচ করেছেন ১০০ বল। বিশ্বকাপের মঞ্চে জন্মদিনে সেঞ্চুরি করার ঘটনা ঘটল দ্বিতীয়বার। ২০১১ বিশ্বকাপে ২৭তম জন্মদিনে সেঞ্চুরি করেন সাবেক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার রস টেলর। সেদিনও প্রতিপক্ষ দল হিসেবে নাম ছিল পাকিস্তানেরই।
ওয়ার্নার-মার্শের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল একটি রেকর্ড। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডটি সাবেক লঙ্কান ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গার দখলে। ২০১১ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮২ রান তুলেছিলেন তারা। সেই রেকর্ড ভাঙার খুব কাছেই ছিলেন ওয়ার্নার-মার্শ। কিন্তু ২৫৯ রানের সেই জুটি ভাঙেন শাহিন আফ্রিদি। ১০৮ বলে ১০ চার ও ৯ ছক্কায় ১২১ রান করে আউট হন মার্শ।
ওয়ার্নার চলতে থাকেন আরও দূরে। বিশ্বকাপে এনিয়ে তৃতীয়বার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন তিনি। যেই কীর্তি নেই আর কোনো ব্যাটারের। ডাবল সেঞ্চুরি হাতছানি দিলেও ১২৪ বলে ১৪ চার ও ৯ ছক্কায় ১৬৩ রানে থামেন এই ওপেনার।
ওপেনিং জুটিতে এমন উড়ন্ত সূচনার পর অজিদের সংগ্রহ চারশ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু রানের সেই গতি টেনে নিতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তাই ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানেই থামে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। এছাড়া হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মীর শিকার করেন একটি উইকেট।