চট্টবাণী ডেস্ক: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার প্রধান আসামিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. রফিকুল ইসলাম।তাকে কুড়িগ্রাম শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পার্শ্ববর্তী এলাকার দুই ভাই মো. রফিকুল ইসলাম ও কদুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার গোদ্দারেরপাড় এলাকায় নিজ বাড়িতে রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা চালান। তারা কবিকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় কবি রাধাপদ সরকারের ছেলে জুগল রায় গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা করেন।
কবির ছেলে জুগল রায় জানান, ছয় মাস আগে সামান্য কথা-কাটাকাটির জেরে তার বৃদ্ধ বাবাকে রফিকুল যেভাবে মেরেছে, তার যেন সঠিক বিচার হয়।
জুগল রায় আরও জানান, বাবা আগের চেয়ে ভালো আছেন। শরীরের বিভিন্ন জায়গার ব্যথা কমলেও কোমরের ব্যথায় তিনি দাঁড়াতে পারছেন না। এখনও বাবা নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জুগল রায়ের বড় ভাই মাধব রায় ও নাগেশ্বরী পৌরসভার হাসেমবাজার এলাকার মিলন ঢাকায় একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে মিলন এলাকায় এসে দাবি করেন, তিনি মাধব রায়ের কাছে কাজের টাকা পাবেন। এ নিয়ে তিনি ছয় মাস আগে এলাকায় সালিশ ডাকেন। সেখানে একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করা স্থানীয় শ্রমিকেরা উপস্থিত হন। ওই সালিশে হিসাবের খাতায় দেখা যায়, মিলন ৫০০ টাকা পাবেন। পরে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমেই তা ফেরত দেন রাধাপদ রায়। ওই সালিসে ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় এলাকার কদুর রহমান এসে উপস্থিত হন। সেখানে ওই ৫০০ টাকা নিয়ে কদুর রহমান ও কবি রাধাপদ রায়ের স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় কদুর রহমানের সঙ্গে রাধাপদও বিবাদে জড়ান, যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। পরে কদুর রহমানের ছোট ভাই মো. রফিকুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিশোধ নেবেন বলে হুমকি দেন। এসব ঘটনার জেরেই কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা হয়।