চট্টবাণী ডেস্ক: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকস্থলীতে করে সাড়ে ৩ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করার সময় মো. জাহেদ হোসেন (২৫) নামে এক যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে করে তিনি ঢাকায় অবতরণের পর ধরা পড়েন তিনি।
সোমবার (০২ অক্টোবর) রাতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যাত্রী মো. জাহেদ হোসেন গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বেসরকারি একটি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিএস-১৫৬ যোগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এসময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হয়। তারা যাত্রী জাহিদকে আটক করে। এরপর যাত্রীকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করছেন। এবং এর সম্ভাব্য পরিমাণ ৩৫০০ পিস।
এপিবিএনের এই কর্মকর্তা জানান, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং এক্স-রে পরীক্ষা করা হয়। এক্সরে পরীক্ষায় এবং ডাক্তারের রিপোর্টে মো. জাহিদের পাকস্থলীতে ছোট ছোট প্যাকেট করা প্রায় ৭২টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগীতায় যাত্রীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৩৫১৮ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
যাত্রী মো: জাহিদ হোসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। এই চালান পৌঁছে দিতে পারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, এর আগেও ওই যাত্রীকে গত ২৬ মে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগে জামিন পেয়েই তিনি আবারো একই কাজ করতে গিয়ে গতকাল আটক হন। যাত্রী মো. জাহিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।