মো: শহীদুল ইসলাম শহীদ: উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সোমবার ০২ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, অবিহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার হয়।
এতে সহকারী কমিশনার ভূমি থানচি উপজেলা সেটু কুমার বড়ুয়া, থানার অফিসার মোহাম্মদ ইমদাদুল হক , সমাজ সেবা কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন ভূইয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন মিয়া, থানচি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা বক্তব্য রাখেন।
এতে আলোচনাকালে বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ভোক্তাকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন হলে আইনের আওতায় অন্যায়ের প্রতিকার লাভের চেষ্টা করে তাহলে অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য আইন ভঙ্গ করে, এমনকি শিশু খাদ্যেও ভেজাল দেয় যার কারণে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়,ক্রেতা বা ভোক্তার অধিকার রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও সচেতন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারে বলা হয় ভোক্তার স্বার্থ বিরোধী যে কোন অপরাধমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাজারে বা বিক্রীর স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রি, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবহার, ওজনে কারচুপিসহ মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতাদের প্রতারিত করলে এ আইনের আওতায় অভিযুক্তকে কারাদন্ড, অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। কোন ভোক্তা কোন পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হলে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত ও জরিমানা আরোপ করা হলে আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ অভিযোগকারী পাবেন।