নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের যেসব সংস্থার প্রতিনিধি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকছেন তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) টিআইসি মিলনায়তনে চসিকের ৩২তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে, সমন্বয় করতে হবে। ওয়াসার যে সুয়ারেজ প্রকল্প তা চসিকের সঙ্গে সমন্বয় না করলে ফলপ্রসূ হবে না।আজকের এ সভায় ওয়াসার কোনো প্রতিনিধি নেই।
ট্রাফিক বিভাগকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ফুটপাথ দখলের পর হকাররা এখন রাস্তাও দখল করছে। চসিক পরিস্থিতির উন্নয়নে উচ্ছেদ চালাচ্ছে। বর্তমানে ব্যাটারি রিকশায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রেনিং, লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে এ গাড়িগুলো চালান চালকরা। হয় এগুলো বন্ধ করে দেন, নাহলে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
‘টানেল যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে শহরে গাড়ির চাপ আরও বাড়বে। যানজট কমাতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে হবে এবং রিকশার মতো ধীরগতির বাহনের লাগাম টানতে হবে। কলকাতার মতো ঘিঞ্জি শহরে পে-পার্কিং চালু করা গেলে, চট্টগ্রামে করতে ট্রাফিক বিভাগের আপত্তি কোথায়? পে-পার্কিং করতে গেলে সেখানে বাধা, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেতো কোনো বাধা দেখছি না। ’ বলেন মেয়র।
সিডিএ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। রাস্তা হলো ৮ ফুট, ভবনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ৮ তলা, ১০ তলার। একেকটা ভবনে একেকটা গ্রামের সমান লোক বসবাস করছে। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চসিক থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে। ফায়ার ব্রিগেড থেকেও অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। কারণ কোনো দুর্ঘটনা হলে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
মেয়র ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় বিগত সাধারণ সভা, দরপত্র কমিটি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিরা স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সচিবসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং নগরের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।