চট্টবাণী: নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সংবিধান ও মানবাধিকার সুরক্ষায় এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের সুনির্দিষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত যে রায় দিয়েছে তা কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হয়নি।
সংবিধানবদ্ধ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনও সব দলের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক আইনজীবীদের একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।
কারণ তারা যেকোনো দলে বিভক্ত হোক না কেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তারা এক ও অভিন্ন থাকবেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিএমএম আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনজীবীদের সত্য সুশাসনের পক্ষে থেকে একাত্তরের চেতনায় মাঠে থাকতে হবে। বিএনপি জামায়াত একটি কুলাঙ্গার অপশক্তি। তারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র কিছুই বুঝে না বলে আমেরিকার মাধ্যমে ক্ষমতা ভিক্ষা চায়। এই ভিক্ষুক একটি দলকে কখনো জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসাতে চায় না। আইনি বিচার প্রক্রিয়ায় যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে সব পরিবার প্রত্যক্ষভাবে হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে সেই পরিবারের কুসন্তান মাঠ গরম করার অপরাজনীতিতে নেমে এসেছে।
এদের কুকীর্তির তথ্য অনুন্ধান করার জন্য তিনি আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট আজাহারুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জহির উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার, অ্যাডভোকেট মো. হাসেম, মনতোষ বড়ুয়া, অশোক কুমার দাশ, তপন কুমার দাশ ও মো. ইমরান প্রমুখ।