চট্টবাণী: আট মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে নগরের মুরাদপুর- অক্সিজেন সড়ক। মুরাদপুর মোড়ে চশমা খালের ওপর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় এতদিন বন্ধ ছিল সড়কটি।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উদ্বোধনের পর রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতায় গত ১৭ জানুয়ারি মুরাদপুর মোড়ে পুরনো বক্স কালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু হয়।ওইদিন থেকে সাময়িক বন্ধ রাখা হয় মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়কে যান চলাচল।
প্রায় ২১ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার প্রস্থ কালভার্টটি নির্মাণে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা মূল ব্রিজ নির্মাণ এবং বাকি দেড় কোটি টাকা খরচ হয় পাইপলাইন সরাতে। গত মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর আরো এক মাস পর ২৫ জুন কালভার্টটির আংশিক খুলে দেওয়া হয় যান চলাচলের জন্য। ঈদুল আজহার পর সেটা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো।
উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি ছাড়াও রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ির যানবাহনগুলো মুরাদপুর–অক্সিজেন সড়ক হয়ে চলাচল করে। এই অংশটি শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের লোকজনের চলাচলের অন্যতম প্রধান সড়ক। মুরাদপুর মোড়ে দীর্ঘ ৮ মাস যান চলাচল বন্ধ রাখায় প্রতিদিন কয়েক লাখ লোককে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লে. কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, পুনঃনির্মাণ করতে গিয়ে ৯টি পাইপলাইন সরাতে হয়েছে। এ জন্য কালভার্ট নির্মাণে অতিরিক্ত সময় লেগেছে। আমরা কালভার্টটি এমনভাবে নির্মাণ করেছি, পথচারীদের কালভার্টের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হবে না। হাঁটার জন্য কালভার্টের দুইপাশে ফুটপাত তৈরি করে দেওয়া হবে।