আনোয়ারা প্রতিনিধি: আনোয়ারায় শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন শিয়ালটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিয়ালের কামড়ে আহতরা হলেন- হাসিনা আক্তার (৬৫), মো. হাশেম (৪৯), নেহা আক্তার (৩৭), তানজিনা আক্তার (৩৬), জ্যোৎস্না আক্তার (৩২), রাজীব (৪২), মো. মনির (২০), নুর আয়েশা (৬০) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৬) ।আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আফরোজা শারমিন জানান, সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জলাতঙ্কের মূল কারণ র্যাবডো (র্যাবিস) ভাইরাস, যা লিসা ভাইরাস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানর, বাদুড়সহ যেকোনো বন্য প্রাণীর লালা বা রস যেকোনোভাবে মানুষের শরীর তথা একবার মস্তিষ্কের টিস্যুতে প্রবেশ করলে জলাতঙ্ক হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই কেউ আক্রান্ত হলে প্রধান কাজ হবে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া।
স্থানীয়রা জানান, পাশের জঙ্গল থেকে এসে হঠাৎ শিয়ালটি রাস্তায় পথচারীদের কামড়াতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে কয়েকজনকে কামড় দেয়। গ্রামের লোকজন শিয়ালটিকে ধাওয়া দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
তবে শেয়াল কোনো হিংস্র প্রাণী নয়, বরং নিশাচর বন্য এই প্রাণীটি লোকালয় থেকে দূরে থাকে বলে জানিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, শুধুমাত্র খাবারের অভাব দেখা দিলেই সন্ধ্যা বা রাতের বেলা লোকালয়ে এদের বিচরণ করতে দেখা যায়। বনে খাবার না পেলে লোকালয়ে হানা দিয়ে হাঁস-মুরগি ধরে নেয়। আত্মরক্ষা ছাড়া শিয়াল কোনো মানুষের ওপর হামলা চালায় না, অবশ্য জলাতঙ্ক রোগ হলে এদের আচরণ কিছুটা বেপরোয়া হয়। আর ওই সময়েই মানুষের হাতে এই প্রাণীটির মৃত্যু হয়।