প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:২৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টবাণী: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চালুর অপেক্ষায় বাকলিয়া এক্সেস রোড। সব ঠিক থাকলে অক্টোবরে সড়কটি চালু করার কথা রয়েছে।
মূল কাজ শেষ হলেও এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। দেড় কিলোমিটারের এ সড়ক তৈরিতে তিন দফা ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সময়।
নগরের যানজট নিরসনে সিরাজউদ্দৌলা সড়ক থেকে শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের নতুন এ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সিডিএ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পে ৪১৭ দশমিক ৫০ কাঠা জমি অধিগ্রহণ, রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ, ৪টি বক্স কালভার্ট, ১০টি ক্রস কালভার্ট, ২০০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথমে প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। মামলা, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং ডিসি রোডে মৌসুমী আবাসিক এলাকায় সড়কের মাঝে একটি দশতলা ভবন নিয়ে জটিলতায় দীর্ঘদিন আটকে ছিল কাজের অগ্রগতি।
প্রথমদিকে ভবন ভেঙে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও পরবর্তীতে ১০ তলা ভবন অক্ষত রেখে, গত বছরের এপ্রিলে অ্যালাইনমেন্ট (নকশা) পরিবর্তন করা হয়। পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে চার দফায় সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল প্রকল্পের মেয়াদ। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ২০৫ কোটি টাকা ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়।
৬০ ফুট প্রশস্তের সড়কটিতে দুই পাশেই ড্রেন কাম ফুটপাত রাখা হয়েছে। আশপাশের এলাকাকে সংযুক্ত করতে ২০টি সংযোগ সড়কের সাথে যুক্ত করা হয়েছে সড়কটি। মেয়াদ শেষ হওয়ায় সড়কটি চালু করে দিতে চায় সিডিএ। যদিও ইতিমধ্যে সীমিত আকারে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
বাকলিয়া এক্সেস রোডের প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, বেশ কয়েকটি জটিলতার কারণে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। সব জটিলতা কাটিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ প্রায় শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৩ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। সড়কে কার্পেটিং শেষ তবে সৌন্দর্যবর্ধনের কিছু কাজ বাকি আছে।
সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোডের কাজ শেষ হয়েছে, অক্টোবরে এটি যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন কিছু সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ চলছে, সড়ক চালু করতে কোনো সমস্যা হবে না। একটি ভবন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল। অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি চালু হলে বাকলিয়া-শাহ আমানত সেতুর সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে।