খেলাধুলা ডেস্ক: মেঘলা আবহাওয়ার কারণে পরিবর্তন আসতে পারে এশিয়া কাপের সূচিতে। সুপার ফোরের ম্যাচগুলো কলম্বো থেকে অন্য কোনো ভেন্যুতে সরানোর পরিকল্পনা করছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
সুপার ফোর থেকে ফাইনালসহ মোট ৬ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। যদিও এখন বর্ষার মৌসুম চলছে না শ্রীলঙ্কা। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা হয়েছে কলম্বো শহরের উত্তরাঞ্চলে। যা প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
গত শনিবার বৃষ্টির কারণে ভেসে যায় ভারত-পাকিস্তান মহারণ। যা এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় হাইভোল্টেজ। এরপর এসিসির সঙ্গে আলোচনা করে এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী সংস্থা ডিজনি স্টার। কলম্বোয় বর্ষা মৌসুম যদিও শুরু হয় অক্টোবর থেকে। ২০১৫ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৯ টি ম্যাচ আয়োজিত হয় প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। কিন্তু কেবল দুটি ম্যাচই বৃষ্টির বাধায় পড়ে।
এশিয়া কাপের আয়োজকরা শ্রীলঙ্কার আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কতটা পরামর্শ করেছেন তা নিশ্চিত নয়। তবে ক্রিকইনফোর মতে, নির্ধারিত সূচির দিন কলম্বোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে তা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ডাম্বুলার নাম উঠলেও সেই মাঠ এতো দ্রুত ম্যাচ আয়োজনে প্রস্তুত নয়। এছাড়া ভারত সেখানকার আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে সন্তষ্ট নয়। স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট ঠিক করার কাজ এখনো চলছে। তবে ডাম্বুলায় এই সময়ে বৃষ্টির প্রভাব কম।
আরেকটা বিকল্প হতে পারে হাম্বানটোটা। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণের এই বন্দর নগরীতে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি নামার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এখানেও ঝামেলা আছে। স্টেডিয়ামটি জঙ্গল ঘেঁষে অবস্থিত। সেখান থেকে কাছাকাছি কোনো হোটেল নেই। তাই সেখানে ম্যাচ আয়োজিত হলে লজিস্টিকাল সমস্যায় পড়তে পারে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টসও বাকি ম্যাচগুলো দুটি ভেন্যুতে আয়োজনে অনাগ্রহ জানায়। কেননা তাদের সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হবে। কারণ, তখন সড়ক পথে তাদের অতিরিক্ত একটি ভেন্যুতে সম্প্রচার সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম, ক্যামেরাপার্সন ও অন্যান্য লোকবল পাঠাতে হবে।
যদি কিছু ম্যাচ বা সবগুলো ম্যাচই কলম্বো থেকে সরানো হয় তাহলে সূচিতে বেশ বড়সর প্রভাব পড়বে। এমনিতে এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু ভারত সেখানে খেলতে অনীহা দেখানোয় হাইব্রিড মডেলে চলছে এশিয়া কাপ। তাই পাকিস্তানের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের আয়োজক এখন শ্রীলঙ্কাও।