চট্টবাণী ডেস্ক: আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।
সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচনকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ করতে কি উদ্যোগ নেবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অংশগ্রহণটা কার অংশগ্রহণ? আমার কাছে অংশগ্রহণ হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দেবে; সেই ভোটে যারা নির্বাচিত হবে, জয়ী হবে তারা সরকারে আসবে। এখন অংশগ্রহণ বলতে কাদের অংশগ্রহণ? ভোট চোরদের? ভোট ডাকাতদের? দুর্নীতিবাজ, মানিলন্ডারিং, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়?
শেখ হাসিনা বলেন, তারা অংশগ্রহণ করলেই বৈধ হবে আর অন্য কেউ করলে হবে না এটা তো কোন কথা হতে পারে না। কারণ তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা; এটা মাথায় রাখতে হবে। নইলে ২০০৮ সালে বিএনপি মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। তারপর থেকে তো তারা আর ইলেকশন অংশগ্রহণ করে না তারা শুধু বাণিজ্য করে, নমিনেশন বেচে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতগুলো উপনির্বাচন হলো, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো, জনগণ কি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেনি? জনগণ তো অংশগ্রহণ করেছে, সেটাই তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটাই কথা, আমি জনগণের জন্য কাজ করি, জনগণের জন্য আছি। জনগণের কল্যাণ করাটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, নইলে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে; একবার চিন্তা করে দেখুন, বাংলাদেশ ১৫ বছর আগে কি অবস্থা ছিল? কোথায় ছিল বাংলাদেশ আর এখন কোথায় আসছে? এত দ্রুত এ পরিবর্তন, এটা কি সহজ কাজ? এটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই পেরেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ যদি পরশ্রীকাতরতায় ভোগে, আমার তো কিছু করার নাই। আর কে কি বলল না বলল সেটা নিয়ে আমি কমই চিন্তা করি। আমার মাথায় আমার বাংলাদেশ আছে, বাংলাদেশের মানুষ আছে, মানুষের কল্যাণে কি করব ওটাই চিন্তা করি। বাপ-মা ভাই-বোন সব হারিয়েছি। যতক্ষণ আছি দেশের জন্য কাজ করে যাব।